নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছিল ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানকে। এবার নির্মাণাধীন ভবনের সামনে অরক্ষিতভাবে নির্মাণ সামগ্রী রাখার দায়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাজধানীর নিকেতনে বায়ুদূষণ রোধে ডিএনসিসি পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শাকিব খানের ভবনের নির্মাণ সামগ্রী গুঁড়িয়ে দেয়।
সকালে উত্তরার নিকেতন এলাকার ২ নম্বর গেটের ৮ নম্বর সড়ক থেকে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। অভিযানটির নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান।
এ সময় নিকেতনের ‘ই’ ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাসার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী পাওয়া যায় ৷ পরিবেশ দূষণের দায়ে করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে এসব গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ১০ তলা এই ভবনটির মালিক চিত্রনায়ক শাকিব খান।
এ বিষয়ে ভবনটির কেয়ারটেকার মনির হোসেন বলেন, এখানে যদি এসব ইট-বালু না রাখা যায়, তাহলে কোথায় রাখবো? এসব তো ভেতরে ঢোকানোর সুযোগ দিতে হবে। কাজ করতে দিতে হবে তো! সিটি করপোরেশন কোনো সুযোগ না দিয়ে এগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলো। নির্মাণাধীন এই বাড়িটির মালিক নায়ক শাকিব খান। সিটি করপোরেশন যদি আমাদের সুযোগ দিতো, তাহলে আমরা এসব ইট-বালু ভবনের ভেতরে নিয়ে নিতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগই দিলো না।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এই ভবনটিতে অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের দায়ে ভবনের অতিরিক্ত অংশ অপসারণ এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। সেসময় গণমাধ্যমে শাকিব খান বলেছিলেন, রাজউকের নিয়ম মেনেই বাড়ি বানিয়েছি। ইঞ্জিনিয়ার হয়তো বাড়ির ক্যান্টিলিভার (বারান্দা) একফিট বাড়িয়েছে। এটা তো এমন কিছু না যে জেল-জরিমানা করতে হবে! আশপাশে যতগুলো বাড়ি আছে বেশিরভাগই বারান্দা বাড়ানো। রাজউক সবগুলো বাড়িতে অভিযান করলো না কেন?

বিষয়টি নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেতা আরো বলেছিলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন সবার জন্য সমান হোক। আজ এসে ১০ লাখ টাকা চাইলো। আগামীকাল এসে অন্যকেউ অভিযান করে বলবে ২০ লাখ টাকা দেন, এটাতো হতে পারে না। আমার যদি কোনো ভুল হয়েই থাকে, তাহলে আগে কেন কোনো নোটিশ দিয়ে সতর্ক করা হলো না?