শাকিব ভাইয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ বিনয় পেয়েছি। তিনি খুবই হেল্পফুল। সবমিলিয়ে বুঝেছি, উনি সুপার ট্যালেন্টেড শিল্পী। এজন্যই বোধহয় উনি বাংলাদেশের সিনেমার ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। কথা গুলো বলছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া।
সিনেমায় এসে আলোচিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। ধ্যান জ্ঞান এখন সিনেমা! তিনি এবার কাজ করছেন চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খানের সঙ্গে। অনন্য মামুন পরিচালিত এ ছবির নাম ‘নবাব এলএলবি’। সম্প্রতি শুটিং সেটে গিয়ে দেখা যায় স্পর্শিয়ার ঠোঁটের কোনা থেঁতলে আছে! ছবির শুটিং এবং সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন অর্চিতা স্পর্শিয়া।
শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার ঠোঁটের কোনায় কী হয়েছে?
জবাবে স্পর্শিয়া বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর প্রথমদিনের শুটিংয়ের আগে চরিত্রে ঢুকতে সত্যি সত্যি সেফটিপিন দিয়ে ঠোঁট থেঁতো করেছি। অনেকটা থেঁতলে গেছে। ব্যথাও অনেক! মূলত চরিত্রের কারণেই এটা করেছি। স্ক্রিনে যেন এটা সত্যি মনে হয় তাই মেকাপ না দিয়ে সত্যি সত্যি এটা করেছি।
আপনার চরিত্রটি কেমন, চরিত্রের প্রস্তুতি কেমন?
স্পর্শিয়া বলেন, শুটিং চলাকালে চরিত্র নিয়ে বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা দর্শক স্ক্রিনে দেখুক। এই চরিত্রটা রপ্ত করতে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা করে আলাপ করতে হয়েছে। অসংখ্য সিনেমা দেখতে হয়েছে। সিনেমার চরিত্র বহন করা জার্নির মতো। আমি আমার জার্নিতে সঠিকভাবে আগানোর চেষ্টা করছি। এতোটুকু বলতে চাই, চরিত্রটা নিজের মধ্যে ভর করে রাখতে খুব বেশি কোথাও যাচ্ছি না। আড্ডাও দিচ্ছি না। বাসার সদস্যদের সঙ্গে কম কথা বলছি। ফেসবুকেও তেমন সময় দিচ্ছি না। এককথায় চরিত্রে ডুবে থাকার চেষ্টা করছি। এখনও পর্যন্ত যতগুলো চরিত্র করেছি কোনোটাতেই পূর্ণ তৃপ্তি আসেনি। কাজ শেষে মনে হয়, ‘ইশ! আরও যদি বেটার করতে পারতাম।’ আমি চাইছি, এই চরিত্রটি আমাকে পূর্ণ তৃপ্তি দিক। তবে আমার প্রস্তুতি দেখে পরিচালকসহ অন্যরা খুব হ্যাপি।
ঠিক কোন কারণে ‘নবাব এলএলবি’-তে কাজ করতে রাজি হলেন?
এর উত্তরে স্পর্শিয়া বলেন,গতবছর আমার জন্মদিনে অনন্য মামুন গল্পটা শুনিয়েছিল। বলেছিল, চরিত্রের নাম শুভ্রা। এ গল্পে আমাকে নিয়ে কাজ করবে। গল্প ভালো লেগেছিল, আর জন্মদিনের সারপ্রাইজ ছিল বলে রাজি ছিলাম। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পরিচালক জানায়, গল্প রেডি। ‘উই আর রেডি টু গো’। তারপর জানতে পারি, ছবিতে থাকবেন শাকিব খান ও মাহিয়া মাহি। সবকিছু ভেবে দেখলাম মন্দ হয়না, তাহলে কাজটা করেই ফেলি।

সবশেষ জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশের সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছেন। কেমন লাগছে?
এই প্রশ্নের জবাবে স্পর্শিয়া বলেন, শুটিং শুরুর আগে শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে বসে আমরা কাজ নিয়ে আলোচনা করেছি। গ্রুমিং করেছি। উনি এতো চমৎকার একজন মানুষ দূর থেকে সেটা কেউ বুঝতে পারবে না। আমার আগের কাজগুলো দিয়ে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সিনিয়র আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করলে অনেককিছু শেখা যায়। যেগুলো খুব উপকারে আসে। এছাড়া সিনিয়র আর্টিস্টরা খুবই বিনয়ী হন। শাকিব ভাইয়ের মধ্যেও সেই পূর্ণ বিনয় পেয়েছি। তিনি খুবই হেল্পফুল। তাই কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছি না। বরং হ্যাপি ফিলিং কাজ করছে। হাসি দিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, কয়েকদিন দেখেছি, আমার আগেই শাকিব ভাই শুটিং সেটে চলে আসছেন। সবমিলিয়ে বুঝেছি, উনি সুপার ট্যালেন্টেড শিল্পী। এজন্যই বোধহয় উনি বাংলাদেশের সিনেমার ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’।
ভিডিও: