হলিউড, বলিউড কিংবা টালিউড যখন একের পর এক নতুন সিনেমা মুক্তি দিয়ে আলোচনায় আছে তখন ঢালিউডে নেই আলোচিত কোন ছবি। চলতি বছরের শুরু থেকেই নতুন সিনেমা খড়ায় ভুগছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। কেননা ছবি নির্মাণ কমে গেছে অনেক আগে থেকেই। প্রযোজকদের দাবী লগ্নীকৃত টাকা ফেরত পাওয়া যায় না উলটো গুনতে হয় বড় অঙ্কের লোকসান।
এদিকে সিনেমা হল মালিকদের মতে মানসম্মত নতুন ছবি না আসায় সিনেমা হলে নেই কাঙ্ক্ষিত দর্শক। তাই বিদেশি সিনেমা আমদানি ও বেশি বেশি ভালো মানের দেশীয় সিনেমা নির্মাণ না হলে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশের সব হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রদর্শক সমিতি।
একটা সময় পরিবার পরিজনদের নিয়ে ছুটির দিনের আনন্দ বিনোদনের অন্যতম স্থান ছিলো প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু সময়ের পালাবদলে এসেছে সেই চিত্রের পরিবর্তন। তবুও এখন যারা হল মুখী নতুন সিনেমার অভাবে হতাশ তারাও। এই বিষয়ে দর্শকদের একাংশ বলেন, শুক্রবার মজা করতে আসি আমরা, নতুন ছবি না থাকায় পুরোতন ছবি দেখেই যাইতে হয়। আর নতুন ছবি গুলোকে আসতেই অনেক বাঁধা দেয় অনেকে। কিন্তু সিনেমা হল গুলোকে বাঁচানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে সিনেমা দরকার। আগে বছরে ৩০০ মত সিনেমা মুক্তি পেতো আর এখন ৪০ টাও পায় না।

এদিকে চলতি বছর তারকা বহুল দুই একটা নতুন ছবি মুক্তি পেলেও সিনেমা হলে টানতে পারে নি খুব একটা দর্শক। কেননা আধুনিক প্রতিযোগিতার এই সময়ে এসেও গতানুগতিক আর অদক্ষ নির্মাণ ভরাতে পারে না দর্শকের মন। এমন অবস্থায় ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত পুরোনো ছবি মুক্তি দিয়েই কিছুটা টিকে আছে হল গুলো। সারাদেশের বেশীরভাগ হলেই চলছে শাকিবের পুরাতন ছবি।
এমন বাস্তবতায় প্রদর্শকদের অনেকের মত, হল চালু রাখতে গেলে কলকাতার আমদানির ছবি অথবা শাকিব খানের ছবি ছাড়া দর্শক আনা সম্ভব হয় না। তাই সংকট কাটাতে মানসম্মত নতুন সিনেমা অথবা সুপারস্টার শাকিব খানের নতুন নতুন ছবি মুক্তির দাবী হল মালিক এবং দর্শকদের।
বন্ধুরা সিনেমা হলের শূন্যতা দূর করতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের এমন অবদান এবং হল মালিক ও দর্শকদের নতুন ছবি মুক্তির এমন দাবী নিয়ে আপনাদের কি মতামত