ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘শাহেনশাহ’। ছবিটির মুক্তি নিয়ে যেন রিতিমত নাটক শুরু করে দিয়েছেন ছবির পরিচালক আর প্রযোজক। কেননা প্রথমে ভালোবাসা দিবস এবং পরে ২২শে মার্চ মুক্তির কথা দিলেও তা পিছিয়ে আবার নিয়ে যায় রোজার ঈদে। আর এতেই যেন ক্ষোভে ফেটে পরে শাকিব ভক্তরা। কারণ ২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় দেখতে পারে নি তাদের প্রিয় নায়ককে। আর ‘শাহেনশাহ’ যদি মুক্তি পায় ঈদে তবে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে ‘শাহেনশাহ’ ২২শে মার্চ মুক্তি না পাওয়ার খবর সুপারস্টার শাকিব খানের মনকেও বেশ আহত করেছে। হয়তো তিনিও চেয়েছিলেন ছবিটি তারাতারি মুক্তি দিয়ে ভক্তদের কাছাকাছি আসতে। আর তা না হওয়ায় নতুন করে আবার নিজেকে শৃঙ্ক্ষলার মধ্যে আনছেন শাকিব খান। তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেল সুপারস্টারের সঙ্গে কথা বলে।
শাকিব খান বলেন, আর অগোছালো ভাবে কাজ করবো না। যে কাজই করবো ব্যারিস্টারের মাধ্যমে লিখিতভাবে সিস্টেমের মধ্যে কাজ করবো। ছবি হাতে নিলে সেখানে ঠিক করা থাকবে মুক্তির তারিখ। এতে করে প্রযোজক বা কেউই কমিটমেন্টে নড়চড় করতে পারবে না। মুক্তির টার্গেট অনুযায়ি কাজ হবে। ইন্ডিয়ান বড় বড় শিল্পীসহ সারাবিশ্বের সুপারস্টাররা এই বিষয়টা খুব মেনে কাজ করে। কলকাতায় আমি যে ক’টা কাজ করেছি, সবগুলো এই সিস্টেম মেনে করেছি।
তিনি বলেন, পুরো প্রফেশনালিজম ব্যাপারটা থাকবে। ‘পাসওয়ার্ড’-এ ঠিক এই কাজ করছি। ঈদ টার্গেট করে এ ছবিটা করছি। আমরা এসব সিস্টেমের ধার ধারতে চাইনা। ইন্ডাস্ট্রি পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম একটা কারণ এটি। আমি এখন থেকে নতুন এই সিস্টেমে কাজ করবো। সেখানে আমার শিডিউল, শুটিংয়ের মাস্টারপ্ল্যান, মুক্তির তারিখ সবকিছুই থাকবে। ‘শাহেনশাহ’-তে যদি এই সিস্টেম থাকতো, তাহলে কেউ মুক্তি পেছাতো পারতো?
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘নোলক’ বৈশাখকে টার্গেট করে শুরু করা হয়েছিল। এমনকি নবান্নের একটা গানও ছিল। কিন্তু পরিচালক-প্রযোজকের হ্যাসেলের কারণে ছবি এখনো মুক্তিই পেল না। ইন্ডিয়ায় সবাই একসঙ্গে যেভাবে পেশাদারিত্বে জোর দিয়ে কাজ করেছি, এখানেও সেভাবে করবো। ব্যারিস্টার দিয়ে ডিড-ডকুমেন্টস করানো থাকবে।
ভিডিওঃ