শাকিব খান, গত প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক। তার বিকল্প কোনো নায়ক এখনো নেই ঢালিপাড়ায়। একটা বড় অংশের দর্শকের কাছে শাকিব খানের চাহিদা আকাশচুম্বী। সেকারণে সিনেমা হলে শাকিব খানের ছবি মুক্তি পেলে উপচে পড়া ভীড় লাগে। বলা যায় যে, তিনি একাই বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু নানান সময়ে শাকিব খানকে পিছু হটানো কিংবা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। যা এখনো চলমান। এসব বিষয় নিয়ে শাকিব নিজে তেমন কিছুই বলেন না। তবে তার হয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেকে গত এক যুগের ইতিহাস তুলে ধরেন।
এবার তার হয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা ওয়াজেদ আলী সুমন। তিনি বলেন, শাকিব খানের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শুটিং-এ শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগে শুনছি। কিন্তু যারা অভিযোগ করছেন তাদের সঙ্গে একসময় ভালো সম্পর্ক ছিলো শাকিব খানের। তখন কিন্তু তারা কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এটা খুবই খারাপ বিষয়। আমি যেটা বলবো আঙ্গুর ফল না খেতে পারলেই টক। ইচ্ছে করলেই একজন সুপারস্টার জন্ম দেওয়া যায় না। স্টার গডগিপটেড হয়।
নিজের ছবির উদাহরণ টেনে সুমন বলেন, আমি এ পর্যন্ত ৫০ ছবিটি পরিচালনা করেছি। এর বেশিরভাগ ছবির নায়ক শাকিব খান। আমার নিজের প্রযোজনায় নির্মিত ছবিতে নায়ক ছিলেন শাকিব। এইগুলোর নাম এক বুক জ্বালা, মনে বড় কষ্ট, টাইগার নম্বর ওয়ান। শাকিব খান সিনেমা সম্পর্কে ভালো বোঝেন। শাকিব যখন বুঝতে পারেন যে সিনেমা ভালো হচ্ছে মেকিংসহ অন্যান্য বিষয়ে তখন সেই সিনেমার প্রতি ফুল ফোকাস থাকে তার। শাকিবকে নিয়ে আমি অনেক ছবি বানিয়েছি আমার সঙ্গে সিডিউল নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি। আমি শাকিব খানকে নিয়ে মাত্র ১৩ দিনে ‘মনে বড় কষ্ট’ সিনেমা বানিয়েছি। যে ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল। যদি সিডিউলের সমস্যা থাকতো শাকিবের তাহলে ১৩ দিনে ছবিটি নির্মাণ করতে পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারদের মধ্যে স্টারডম বিষয়টি থাকে। আমারা বিভিন্ন ইন্টাারভিউতে দেখি শাকিবের মধ্যে সেটা আছে। শাকিব খান তো এমনিতেই সুপারস্টার হয়নি, তার সেই যোগ্যতা আছে বলে হয়েছে। আল্লাহ্ যাকে সম্মান দিয়েছে আমার কেনো দিবোনা। শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা বানালে প্রযোজকের টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব বেশি আছে বর্তমান প্রেক্ষাপৃটে। আমি বলতে চাই শাকিব খানের বিকল্প কোনো অভিনয়শিল্পী আসেননি যার উপর পরিচালক ভরসা করতে পারেন। আমি যেটা বলবো শাকিবের পিছনে না লেগে চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচান সবাই মিলে একসঙ্গে।