বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ডিজিটাল চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দেওয়া, চলচ্চিত্রে নতুন মেধাবী মুখের উপস্থাপনসহ নানা মাধ্যমে দেশীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। আর এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল আজিজ। ২০১১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করার পর এই ছয় বছরে এ পর্যন্ত ৪০ টির বেশি ছবি জাজ থেকে মুক্তি পেয়েছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই জার্নিটা জাজের কেমন ছিল জানতে চাইলে আবদুল আজিজ বলেন, জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না।
বিভিন্ন সময়ে নানা বাধার মুখোমুখি হয়েছে জাজ। পরিকল্পনা ঠিক থাকলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তা নিতে পারিনি। অনেক কিছু করার আছে আমাদের। কি কি করার আছে বলে মনে করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, এই যেমন প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিভিন্ন দেশের সরকারি খরচে প্রতিনিধিসহ একটি স্টল থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের নেই। এটা নিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নেতার কোনো কথা নেই। নাম্বার টু, সিনেমা হলে ই-টিকেটিং মেশিন বসানো প্রয়োজন। আমি সিনেমা হলে এই ই-টিকেটিং মেশিন বসাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হল মালিকরা বসাতে দেয়নি। এখনো সার্ভারসহ ২০টি ডিজিটাল মেশিন আমার অফিসে পড়ে আছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করার পরও কেন উন্নতি হচ্ছে না?
অনেকে যৌথ প্রযোজনার ছবিসহ জাজের বিপরীতে ছবি মুক্তির জটিলতার বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন-এ বিষয়ে কি বলার রয়েছে? আবদুল আজিজ বলেন, অনেকে পুরো বিষয় না জেনে অভিযোগ করেন। যৌথ প্রযোজনার ছবি দেশের কোন ক্ষতি করছে না, বরঞ্চ দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে চাঙ্গা করছে। উন্নত এবং ভালো মানের সিনেমা পেয়ে দর্শক সিনেমা হলে ফিরছে। এতে হল মালিকরাও সন্তুষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু এই যৌথ প্রযোজনার ছবি দেশে প্রদর্শনে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হল। শুধু ভিন্দেশের নায়কের ছবি নয় দেশের নায়ক শাকিব খানের ছবিকেও আসতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। শাকিব খান শুধু একজন নায়কেই নয় এদেশের সুপারস্টার। তার ছবিতে এদেশের দর্শকের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তার ছবিও আমদানি করে দেখতে হছে আমাদের। এটা বড়ই অদ্ভুত। আসলে ভালো কাজ উপহার দেয়ার জন্যই শাকিব খান ও জাজকে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখন।