দেশে দেশে ছড়িয়েছে মরণব্যধি ভাইরাস করোনা। এর প্রভাবে নাকাল পুরো বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশেও। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসাক্ষেত্র সবজায়গায় পড়েছে এর প্রভাব। আর এই বিপর্য সময়ে দেশের ক্রিকেটার থেকে বিত্তবানরাও এগিয়ে এসেছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে। ছিন্নমূল মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তারা। এগিয়ে এসেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানও।
কথা ছিল ২৮ মার্চ শুরু হবে শাকিব খান ও মাহি অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’ ছবির শুটিং। এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেশের পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দী। এর মধ্যে স্থগিত করা হয় ছবির শুটিংও। শুটিং থেমে গেলেও এই ছবির দেড় কোটি টাকা বাজেটের পুরোটা করোনাভাইরাস থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পিপিই বাবদ, স্বল্প আয়ের চলচ্চিত্র প্রোডাকশন বয়, সহকারী প্রোডাকশন বয়সহ অসহায় মানুষের জন্য খরচ করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেলিব্রিটি প্রোডাকশন।
এর কর্ণধার জানান, করোনার এই সময়ে আমরা এরই মধ্যে ২৫ হাজার পিপিই এবং ১০০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করেছি। সামনে আরও করা হবে। বেশির ভাগ পিপিই ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, আল বারাকা হাসপাতাল এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি ২০২০ সালের ঈদে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শুটিং হচ্ছেনা ছবিটির। পরিস্থতি স্বাভাবিক হলেই ছবিটির শুটিং শুরু হবে।
বিষয়টিতে শাকিব খানের সমর্থন ছিলো বলেই জানান অনন্য মামুন। শাকিব খান বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতে সবাইকে তো এগিয়ে আসতে হয়। যে যার সাধ্যমতো সহায়তা করছেন। নবাব এলএলবির টাকায় হাসপাতালে পিপিই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবেও অনেক কিছু করছি। অনুদানের বিষয়টা গোপন থাকাটাই শ্রেয় মনে হয় আমার কাছে। এটা তো হাদিসেরও কথা। দানের বিষয়টা যেনো অন্য হাতও না জানে। এখন শুধু চাওয়া আমরা সবাই যেনো এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি।
বন্ধুরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শাকিব খানের ‘নবাব এলএলবি’ ছবির পুরো বাজেট ব্যয় করায় আগামী ঈদে আসছে না এই ছবি, এ প্রসঙ্গে আপনাদের কি মতামত তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।