ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। তার ছবি মানেই নাচ, গান, কমেডি, অ্যাকশান আর ঝড়ো সংলাপে ভরপুর একটি ছবি। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই ধারণা চলে আসলেও গত তিন বছর ধরে হঠাৎ করেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে দেশের শীর্ষ এই নায়কের। চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে বডি ফিটনেস সবকিছুতেই আনেন আমূল পরিবর্তন। তথাকথিত কাহিনীর বাইরে গিয়ে মৌলিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্পের ছবিতে কাজ করছেন। আর এর সবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
তবে বলা চলে এর সবটাই কলকাতার বদৌলতে হয়েছে। কেননা সেখানকার সাথে বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করেই শাকিব খান রাতারাতি বদলে ফেলেছেন নিজেকে। শিকারি, নবাব, ভাইজান এলো রের মত সিনেমা করে পেয়েছে ব্যাপক প্রশংসা। আর শুধু দেশেই নয় অভিনয়ের গুণে কলকাতাতেও বাড়িয়েছে তার ব্যাপক ফ্যান ফলোয়ার।
এদিকে বর্তমানে তাকে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নিয়মিত দেখা না গেলেও বাংলাদেশের সিনেমায় বেশ সরব হয়েছেন তিনি। তবে এতে তার বিশেষ কোন পরিবর্তন হয় নি। মুক্তি পাওয়া ছবি গুলোতে দেখা যাচ্ছে আবার সেই একই লুক আর বডি ফিটনেস নিয়ে হাজির হচ্ছেন। যে ফিটনেসের জন্য তিনি একটা সময় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন।

অনেকের মতে ২০০৮ সালের পর শাকিব খানের অভিনয়ে বেশ ন্যাকামি যুক্ত হয়, সেই সাথে যুক্ত হয় বাজে লুক ও ফিটনেসের। আর এই তিনটি জিনিস খুবি বিরক্তিকর, বিশেষ করে বড়পর্দায় অভিনেতা অভিনেত্রীদের ন্যাকামি বড় বেশি যন্ত্রণাদায়ক। বর্তমানে শাকিব খান শুটিং করছেন ‘শাহেনশাহ’ সিনেমায়। আর এই সিনেমার স্থিরচিত্র গুলো সে সময়ের কথাই মনে করে দেয় যেটা সুপারস্টার শাকিব খানের জন্য বেশ আতংকের। আর ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে সেটা দর্শক ভক্তদের জন্য হবে অনেক হতাশার।
তবে খুশির খবর হলো ২০১৯ সালের শুরুর দিকে কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার নতুন ছবিতে আবারও কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন শাকিব খান। শিকারি ছবির নতুন লুকের মত এসব ছবিতেও দেখা যাবে ভিন্ন লুকের শাকিবকে। এবং আবারও দর্শক-ভক্তরা সিনেমা হলের সামনে হুমড়ি খেয়ে পরবে প্রিয় নায়কের ছবি দেখতে।
ভিডিওঃ