গত কয়েকবছর ধরেই ঢালিউড সিনেমা বাজারে চলছে বেশ মন্দা ব্যবসা। একের পর এক ছবির গায়ে লাগছে ফ্লপের তকমা। এরেই ধারাবাহিকতায় সিনেমা নির্মাণের কাজও কমে যাচ্ছে। চলতি বছরের গত শুক্রবার ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে মাত্র ৪৬টি ছবি। এসব ছবির মধ্যে ৪০টি ছবির ব্যবসায় বেশ হতাশ করার মত।
এদিকে বছরের শেষের দিকে যদি কোন ছবি মুক্তি পায় তা সিনেমার সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া ঢালিউডে আর কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বেশ হতাশা বইছে বাংলা সিনেমায়। অনেক প্রযোজকই সিনেমা বানানো বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর বেকার হয়ে পড়ছেন অনেক অভিনেতা-অভিনত্রীরা।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘এই যদি হয় দেশীয় চলচ্চিত্রের ব্যবসার চালচিত্র তবে প্রযোজকরা কেন লোকসান গুনতে এই খাতে অর্থলগ্নী করবে? এদিকে প্রযোজকের অভাবে ছবি নির্মাণ হচ্ছে না। ছবির অভাবে সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে। আর কাজের অভাবে নির্মাতা, শিল্পী, কলা-কুশলী বেকার হচ্ছেন। এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে কেউ কেউ কলকাতামুখী হচ্ছেন।’

ফলে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির এই যখন অবস্থা তখন একাই লড়াই করে যাচ্ছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। একের পর এক নতুন সিনেমায় অভিনয় করে যাচ্ছেন। একমাত্র তার ছবির শুটিঙ্গের জন্য ব্যস্ত থাকে এফডিসি। কিছুটা কাজের অভাব মিটাতে পারে অসংখ্য নির্মাতা, শিল্পী এবং কলা-কুশলীর। কেননা তিনি ছাড়া অন্য কোন নায়কের ছবি খুব একটা খরচ উঠিয়ে আনতে পারে না। এদিকে বাজেট সঙ্কটে অনেক প্রযোজক এখন তাকে নিয়েও সিনেমা বানানোর সাহস করছেন না। বাধ্য হয়ে কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে আবারও যুক্ত হচ্ছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, খুব শীগ্রই টালিউডের চারটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হবেন কিং খান।
এ প্রসঙ্গে কলকাতার শীর্ষ চলচ্চিত্র প্রযোজক বিজয় খেমকা জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক শিল্পী প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য যোগাযোগ করেন। ঢাকার শিল্পীদের কথা হলো চলচ্চিত্রের অভাবে তারা বেকার। কিন্তু শাকিব খান জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আমাদের কাছে বেশি পছন্দের। তাই তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কেননা এর বাইরে কাউকে দিয়ে সিনেমা বানালে তা চলবে না।’
তাই খুব সহজেই বলা যায় ঢালিউড কিং শাকিব খান দেশ বিদেশে নিজের কাজের যোগ্য দক্ষতা দেখিয়ে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিকে চাঙ্গা করতে একাই লড়াই করে যাচ্ছেন।
ভিডিওঃ