আজ ঈদুল আজহা। ঈদের আগে ছবি মুক্তির ফাঁকা আওয়াজ তুলেছে অনেকেই। তবে সবশেষ মুক্তি পেয়েছে চারটি ছবি। সেগুলো হল ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘মনে রেখো’, ‘জান্নাত’ এবং ‘বেপরোয়া’। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় শাকিব খান বুবলী জুটি অভিনীত ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিটি। কেননা ছবিটি এরেইমধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেশের সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব অপু অভিনীত ‘রাজাবাবু’ ছবিটি ১৬৪টি হল বুকিং করে রেকর্ড গড়েছিল। আর এবার ২০০ হলের টার্গেট নিয়ে ২২২টি সিনেমা হলে ‘ক্যাপ্টেন খান’ মুক্তি পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে। ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭৬টি হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু রাত ১১টার মধ্যে হলের সংখ্যা দাঁড়ায় ২২২। প্রথমে হাই রেন্টালে হল বুকিং দিলেও পরে শেষের দিকে অল্প টাকায় ছবিটি দিয়েছে বলে সিনেমা হল সংখ্যা বাড়ে।
এদিকে মুক্তি পাওয়া চার ছবির লড়াইয়ে অন্য তিনটি ছবির মধ্যে মাহি-বনি জুটি ‘মনে রেখো’ ৭০টি, মাহি-সাইমন জুটি ‘জান্নাত’ ২৩টি এবং জাজ মাল্টিমিডিয়ার আলোচিত রোশান-ববি জুটির ছবিটি মাত্র একটি সিনেমা হল পেয়েছে। দুই ছবি মুক্তি দিয়ে মাহি ৯৩টি সিনেমা হল পেলেও তা ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির থেকে অনেক পিছনে।

রেকর্ড সংখ্যক হলে মুক্তি দেওয়া শাকিব খানের এই ছবিটি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই শাকিব খান ভক্তদের ভিড় জমেছে। অনেকেই দল বেঁধে ছবিটি দেখতে গেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যেসব হলে মর্নিং শো চালানো হয় না তার অনেক হলেই মর্নিং শো চালানো হয়েছে। এদিকে দুপুরের শোতে কিছুটা দর্শক কম থাকলেও বিকেল অর্থাৎ ৩টার শো থেকে ছবিটি দেখতে সিনেমা হলের সামনে আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দর্শক। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে ছবিটি দেখতে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে ছবিটি দেখতে আসা শাকিব ভক্তদের এমন আগ্রহ দেখে হল মালিকরাও বেশ সন্তুষ্ট। তারা ধারনা করছেন ছবিটি এবার বাম্পার হিট হবে। কেননা প্রথম দিনেই মারমার কাটকাট অবস্থা। ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। একটি শো শুরু না হতেই অন্য শো এর জন্য অগ্রিম টিকিট নিয়েও অনেকেই অপেক্ষা করছেন ছবিটি দেখার জন্য।