ঢালিউডে ছবি নির্মাণ কমে গেছে অনেক আগে থেকেই। তাই চলতি বছরের শুরু থেকেই নতুন সিনেমা খড়ায় ভুগছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। যদিও গেল ১৭ সপ্তাহ তারকা বহুল একাধিক নতুন ছবি মুক্তি সিনেমা হলে টানতে পারে নি প্রত্যাশিত দর্শক। কেননা আধুনিক প্রতিযোগিতার এই সময়ে এসেও গতানুগতিক আর অদক্ষ নির্মাণ ভরাতে পারে না দর্শকের মন।
এমন অবস্থায় বিদেশী ছবি আমদানির নীতি শিথিলের দাবীতে হল মালিক এবং প্রদর্শকরা আন্দোলন করে তথ্য মন্ত্রীর কাছে মৌখিক অনুমতি পেলেও সুবিধা করতে পারে নি সিনেমা ব্যবসায়। কেননা দেশের প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে হলিউড, বলিউড কিংবা টালিউডের ছবি যতই মুক্তি পাক না কেন তা সিনেমা হলে আনতে পারে না কোন দর্শক।
শুধুমাত্র দেশের সুপারস্টার কিং খান খ্যাত তারকা শাকিব খানের ছবিই দেখাতে পারে হাউস্ফুল ব্যবসা। তাই কিং খানের ছবির অপেক্ষায় মরিয়া হয়ে আছে প্রদর্শক আর হল মালিকরা। কিন্তু দুই একবার আশ্বাস পেলেও ২০১৯ সালের এই চার মাসেও মুক্তি মেলে নাই শাকিব খানের নতুন কোন ছবির।

এদিকে ঘনিয়ে এসেছে রোজা তাই নতুন ছবি মুক্তি বন্ধ রেখেছে ছবি গুলোর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এমন বাস্তবতায় গেল শুক্রবার থেকে দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে তালা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। যেখানে আছে বলাকা এবং মধুমিতার মত অভিজাত হল গুলো।
এই বিষয়ে বলাকা সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক এস এম শাহিন বলেন, যে ছবি আসতেছে সে ছবিই তো আমাদের প্রেক্ষাগৃহে চলার মত না। মাঝেমধ্যে আমরা ওয়েবসাইটে ছবি গুলো দেই, দর্শকরা সেগুলো দেখে কমেন্ট করে এগুলো কি বলাকার ছবি, এটা কি উৎসবের কিংবা এটা কি পহেলা বৈশাখে চলার মত ছবি?
এদিকে একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ২০ বছর আগেও সিনেমা রোজাতেও চলতো, বাম্পার ব্যবসা করতো, দুই সপ্তাহ খুব ভালো ব্যবসা করতো, দ্বিতীয় সপ্তাহের রোজা এবং তৃতীয় সপ্তাহের রোজার টাকা দিয়ে আমরা সবাইকে বোনাস দিতাম। কিন্তু আজকের দিনে এমন এক অবস্থা তৈরি হয়েছে যে সিনেমা হলে দর্শকরা আর আসতেছে না। আর বন্ধ হওয়া সিনেমা হল গুলো যদি ঈদের পর ছবি না পায় তাইলে হল গুলো দেখা যাবে মার্কেট হয়ে গেছে।
তবে ঈদের ছবিতে অর্থাৎ সুপারস্টার শাকিব খানের ছবি মুক্তি পেলে সারাদেশে আবারও চাঙ্গা হবে সিনেমা ব্যবসা, আপাতত এমন আশায় বুক বাঁধছেন হল মালিকরা।
ভিডিওঃ